ত্বীন ফলের ৫টি অজানা উপকারিতা | বেহেশতি ফল ত্বীন গাছের পরিচিতি | Cultivation of Tin fruit
ডুমুর প্রজাতির একটি ফল হল ত্বীন ফল, যা মরুভূমির মরু পরিবেশে জন্মে থাকে। পবিত্র কুরআনে “ত্বীন” নামে একটি সুরা আছে, যেখানে আল্লাহ তাআলা ত্বীন ফলের নামে কসম খেয়ে বলেছেন; বিশ্বাসিদের জন্য তিনি সৃষ্টি করেছেন সেই শুভফল যা কখনো শেষ হবার নয়(অর্থাৎ বারো মাস পাওয়া যায়)।
এছাড়া হজরত আদম ও হাওয়া আল্লাহর নিষেধ অমান্য করে গন্ধম ফল খেয়ে বস্ত্রহীন হলে তারা ত্বীন গাছের পাতা দিয়ে লজ্জা নিবারণ করেছিলেন।
বাইবেলেও এই ফলের গুণাবলীর কথা একাধিকবার বলা হয়েছে।
আফ্রিকা ও আমেরিকাতে আঞ্জির নামে পরিচিত এই সুমিষ্ট ত্বীন ফলটি বর্তমানে আমাদের দেশে টবে ব্যাপকহারে চাষ হচ্ছে। এর গাছ ৬-৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। ফল ধরে পাতার গোড়ায় গোড়ায়। একটি গাছে ৭০-৮০টি ফল ধরে। বাসায় দুটি গাছ থাকলে বারোমাসি এই ফলটি আপনার সারা বছরের ফলের চাহিদা মেটাতে পারে।
রাসায়নিক সার ছাড়াই শুধু জৈব ও কম্পোস্ট সার টবের মাটির সাথে মিশিয়ে চারা লাগানো যায়। কাটিং বা কলম চারা লাগানোর ৫ মাস পর ফল ধরা শুরু হয়।
বারো মাস ফল দেয় বিধায় টবে নিয়মিত সরিষার খৈল পচা পানি দিতে হয়। একবছর অন্তে টবের অর্ধেক মাটি বদলে সার মিশ্রিত নতুন মাটি দিয়ে টব ভরে দিতে হয়।
অন্যান্য ফলের মতো যথারীতি আলো বাতাসের প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ত্বীন ফলের ৫টি অজানা উপকারিতা:
বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন ত্বীন ফলের কিছু জাদুকরী উপকারিতা রয়েছে—
১. পবিত্র এই ফল যৌন স্বাস্থ্য উন্নয়নে বেশ সহায়ক। এটি নারীদের উর্বরতা বাড়ায়।
২. ভিটামিন-এ, সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বহুগুণ।
৩. এটি দেহের অনাকাঙ্ক্ষিত কোলেস্টেরল কমায়। এতে আছে উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম যা ব্লাড সুগার, ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হারিস-গোগগুল রোগ সারায় লজ্জাবতী
৪. ভিটামিন-কে এর সমৃদ্ধ উৎস এই ফলটি রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৫. এর খনিজ উপাদান গুলো হার ঠিক রাখে, চুল পড়া বন্ধ করে তারুণ্য ধরে রাখে ও ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
কৃতজ্ঞ স্বীকার: “কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ জিয়াদ”-এর ফেসবুক পোস্ট থেকে।
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোন ভেষজ ঔষধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments