Dear visitor, welcome to my health related personal blog. Hope, see you again- thank you.

স্বপ্নদোষ রোগে যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো ব্যবহার করা হয়: - Diseases and Medicines:

Header Ads

স্বপ্নদোষ রোগে যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলো ব্যবহার করা হয়:

 স্বপ্নদোষ রোগে যে হোমিওগুলো ব্যবহার হয়:

রাতে বা দিনে ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখিয়া অনিচ্ছাকৃত বীর্যপাত হইলে তাহাকে স্বপ্ন দোষ বলে। স্বপ্নদোষ একটি সাধারণ ও স্বাভাবিক ব্যাপার। এতে পুরুষের কোন ক্ষতি হয় না। পুরুষের যৌবন আগমন করলে প্রকৃতিগতভাবে প্রতিমাসে ২-৪বার এমনটি হতে পারে।

যৌবনে নিয়মিতভাবে শুক্রকীট তৈরি হয়ে থাকে।। শুক্র জমা হয় এপিডিডার্মি, শুক্রবাহী নালী বীর্য থলিতে। স্বপ্নের ভিতর দিয়ে সেগুলো বের হবার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে বের হবার পথ পেয়ে যায়। যা হোক, সম্ভবত মূত্রথলি ও মলাশয় থেকে প্রেরিত উত্তেজনার জন্যই পুরুষের স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে। এ বীর্য স্খলন কেন্দ্রে চলে আসে। যদি বীর্য স্থলনের সময় কোন নারীর স্বপ্ন অনুপস্থিত থাকে তবে মনে করা হয় এ জন্য আবেগ দায়ী। সকালে ঘুম ভাঙ্গবার পর সংশ্লিষ্ট পুরুষ সেটা. বুঝতে পারে।

স্বপ্নদোষের কারণ:

-যেসব পুরুষের মনে কামভাব বেশি থাকে।

-মদ বা অতিরিক্ত নেশা সেবনে অভ্যস্থ পুরুষ।

-হরমোনের বেশি প্রভাব সৃষ্টি হলে।

-উত্তেজক খাদ্য বেশি গ্রহণ করলে।

 

স্বপ্নদোষ রোগে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:

হোমিও চিকিৎসা একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়

 

ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া (Staphisagria):  স্কুল কলেজের ছাত্রদের স্বপ্ন দোষ নিবারণে এই ঔষধটি উত্তম কার্যকরী।

সেবন বিধিঃ শক্তি 30 দিনে দুই বার। পরে 200 শক্তি সপ্তাহে এক মাত্রা।

 

ডিজেটেলিন(Digitalin): স্বপ্ন দোষের একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দোষ হয়, তাহাতে ঘুম ভাঙ্গে না।

সেবন বিধিঃ শক্তি 3x বিচূর্ণ অর্ধ গ্রেন মাত্রায় ২/১ দিন পর পর সকালে এক মাত্রা।

ক্যালি ব্রোম (Kali Brom): রাত্রে ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ। দিনের বেলায় শরীর দুর্বল লাগে। হাত, পা ঝিন ঝিন করে এই লক্ষণে ইহা উপযোগী।

সেবন বিধিঃ শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই বার।

 

ডায়স্কোরিয়া (Dioscorea): প্রায় রাত্রেই এক বা একাধিক বার স্বপ্ন দোষ হয় । পর দিন অত্যন্ত দুর্বলতা অনুভব করে। হাঁটুর দুর্বলতার জন্য চলাফেরায় কষ্ট হয়।

সেবন বিধিঃ শক্তি 30 দিনে দুই বার । পরে 200 সপ্তাহে এক মাত্রা।

 

জেলসিমিয়ম(Gelsemium): কোন রূপ স্বপ্ন না দেখিয়া যাহাদের স্বপ্ন দোষহয়। (বীর্যপাত) জেলসিমিয়াম তাহাদের পরম বন্ধু । ইহা ব্যবহারে বহু রোগী আরোগ্য হইয়াছে।

সেবন বিধিঃ শক্তি 200 সপ্তাহে দুই/ তিন দিন সকালে। পুরাতনে আরও উচ্চ শক্তি।

 

এসিড পিক্রিক(Acid Picric): স্বপ্ন না দেখিয়াই যাহাদের ঘুমের ঘোরে প্রচুর বীর্যপাত হয় ও বীর্যপাতের পর শরীর অত্যন্ত দুর্বলতা অনুভব করে। ইহা তাহাদের উপকারে

 

 

ধ্বজ-ভঙ্গের কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা জানতে উপরে ক্লিক করুন

 

 

পথ্য ও আনুষাঙ্গিক ব্যবস্থা:

হস্তমৈথুনের মত কু অভ্যাস ত্যাগ করিবে। কাম উদ্দীপক চিন্তা পরিত্যাগ করিতে হইবে। সাধুসঙ্গ ও ধর্ম গ্রন্থ পাঠ উপকারী। শয়নের পূর্বে পুরুষাঙ্গ অন্ডকোষ নীতল জল দ্বারা ধৌত করিবে। নিয়মিত ব্যায়াম, প্রত্যুষে শয্যা ত্যাগ, শক্ত বিছানায় শয়ন করা ভাল। মদ্য, মাংস, উত্তেজক খাদ্য পরিত্যাগ করা ও লঘুপথ্য পুষ্টিকর খাদ্য আহার করা বিধেয়।

সূত্র: অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, ডা: এম. এ হোসেন

 

সতর্কীকরণ: হোমিও ঔষধ সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 

 

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের  ‘‘ফেসবুক পেজে  লাইক দিয়ে রাখুন

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

 

No comments

Powered by Blogger.