Dear visitor, welcome to my health related personal blog. Hope, see you again- thank you.

করলার ১০টি বিষ্ময়কর পুষ্টিগুণ। - Diseases and Medicines:

Header Ads

করলার ১০টি বিষ্ময়কর পুষ্টিগুণ।

 

করলার ১০টি বিষ্ময়কর পুষ্টিগুণ।

করলার ১০টি বিষ্ময়কর পুষ্টিগুণ।

করলা পুষ্টিগুণের দিক থেকে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি সবজি। করলার চমৎকার পুষ্টিগুণ রয়েছে বিভিন্ন রোগ সারাতে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলার মধ্যে রয়েছে ১৭ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৩.৭০ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, আঁশ ২.৮০ গ্রাম, ফোলেট ৭২ মাইক্রো গ্রাম, নিয়াসিন ০.৪০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৪৭১ আইইউ, ভিটামিন সি ৮৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬ মিলিগ্রাম 19 মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম 17 মিলিগ্রাম।

করলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা:

করলা অনেকেরই পছন্দের একটি সবজি। সবজিটি ভর্তা, ভাজি এবং তরকারি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। মানব স্বাস্থ্যের জন্য এই সবজির উপকারী গুণাগুণ কম নয়।

করলার এমন দশটি স্বাস্থ্য উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো।

 

1. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ: 

এই সবজিতে কেরাটিন নামক একটি উপকারী উপাদান রয়েছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে ডায়াবেটিস রোগীদের এই ঘরোয়া উপায়ের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলার রস পান করেন তারা অনেক উপকার পেতে পারেন।

 

2. রক্ত ​​বিশুদ্ধ রাখুন: 

সুস্থভাবে বাঁচতে বিশুদ্ধ রক্ত ​​থাকা জরুরি। আর এজন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। আর এটি করতে আপনি প্রতিদিন করলার জুস পান করা শুরু করতে পারেন কারণ এই পানীয়টিতে রয়েছে "ব্লাড পিউরিফাইং এজেন্ট" যা রক্তকে বিশুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

 

3. পেটের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমায়: 

করলাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি পেটের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শাকসবজির ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে গ্যাস্ট্রিক রসের নিঃসরণ বেড়ে যায়, যার ফলে পেটের বেশ কিছু রোগের লক্ষণ কমে যায়।

 

4. শরীরের ওজন কমাতে: 

যাদের ওজন বেশি তারা এখনই করলার রস খাওয়া শুরু করতে পারেন। খাবার ঠিকমতো হজম হলে শরীর অতিরিক্ত ক্যালরি জমার সুযোগ পায় না, ফলে শরীরের ওজন কমতে থাকে। করলার রস নিয়মিত খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া এই পানীয়টি লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

 

5. পাইলসের ব্যথা উপশম করতে:

যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে নিয়মিত করলার রস খেতে পারেন যা আপনাকে পাইলসের ব্যথা থেকে মুক্তি দেবে। এ ছাড়া করলার মূল নিয়ে পেস্ট করে পাইলসের ওপর লাগালে অনেক উপকার পাওয়া যায়।

 

6. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: 

যারা প্রতিদিন সকালে করলার রস খান তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে। বিভিন্ন রোগ বা সংক্রমণের ঝুঁকিও কমে যায়। এতে করে করলার রস পান করলে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

 

7. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে: 

করলার রসে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন থাকে, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যারা তাদের মূল্যবান চোখ সুস্থ রাখতে চান তাদের নিয়মিত সেবনের পাশাপাশি করলার রস খাওয়া উচিত।

 

8. পিত্ত শ্লেষ্মা দ্বারা সৃষ্ট রোগ নিরাময়: 

অনেক সময় ম্যালেরিয়াল জ্বর হলে পিত্ত সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং শরীরে ব্যথা, তৃষ্ণা ও বমির মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এক্ষেত্রে এক চা চামচ করলা পাতার রস গরম করে বা গরম পানিতে মিশিয়ে রোগীকে দিনে ২-৩ বার খাওয়ালে তার জ্বরের উপসর্গ চলে যাবে এবং জ্বরের প্রকোপও কমে যাবে।

 

9. পেটের কৃমি দূর করতে: 

যেসব শিশুদের পেটের কৃমির সমস্যা আছে তারা আধা চা চামচ করলা পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খেলে উপকার পাওয়া যায়। আর রোগী বয়স্ক হলে ১-২ চা চামচ দিতে হবে

10. ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে: 

করলা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধক কিছু উপাদান রয়েছে যা দেহে কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়। ফলে এই মরণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও এই সবজি রক্তশূন্যতা এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগের চিকিৎসায়ও সাহায্য করে।

 

এখন সারা বছরই বাজারে করলা পাওয়া যায়। ভাজি, ভর্তা ও ঝোলের জন্য করলার জুড়ি নেই। তেতো হলেও সবজিটি খেতে সুস্বাদু। তাই অনেকেই এটি খেতে ভালোবাসেন। তবে স্বাদের চেয়ে এর ঔষধি গুণই করলাকে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। তাই আসুন এর ঔষধি গুণের কথা মাথায় রেখে আজ থেকে নিয়মিত সবজিটি খাওয়ার চেষ্টা করি এবং বিভিন্ন রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখি।

 

পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের  ‘‘ফেসবুক পেজে  লাইক দিয়ে রাখুন

 

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে

শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.