দাদ ও একজিমার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা | দাদ-এর চিকিৎসায় দারুচিনি যেভাবে ব্যবহার হয়
দাদ ও একজিমা দূর করার উপায়, দাদ এর ঘরোয়া চিকিৎসা, দাদ এর আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, ঔষধি গাছের নাম ও উপকারিতা, ঔষধি গাছ-গাছড়ার নাম ও উপকারিতা। দারুচিনি আমরা অনেকেই চিনি, অনেকেই চিনি না।
এই দারুচিনি দেখতে ছোট গাছের বাকল বা ছালের মতো। গাছের ছালই তো বটে! এর স্বাদ একটু ঝাল ও মিষ্টি। একটু ঝাঁঝালো। কিন্তু গন্ধটা সুন্দর। দারুচিনি গাছ মাঝারি ধরনের। অনেকটা গোলাপজাম গাছের মতোই। পাতাগুলি প্রায় তেজপাতার মতো। গাছের ছালের রঙ ধূসর। তবে বেশি মোটা হয় না। কাঠের রং ফিকে লাল হয়। কচি পাতা প্রথমে গাঢ় গোলাপি রঙের হয়। পরে সেটা সবুজ হয়ে যায়। গাছের ছাল তুলে রোদে দিলেই ওগুলো কুঁকড়ে যায়। রান্নার কাজে দারুচিনির ব্যবহার ছাড়াও রয়েছে এর ঔষধি গুণ, যা আমাদের ছোট-খাটো অসুখে কাজে লাগতে পারে।
দাদ ও একজিমা: দাদ ও একজিমার সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালো ও সাদা রঙের চাকা হয়। খুব বেশি চুলকায় এই চাকা চাকা জায়গাগুলো। এর ফলে ঐ জায়গাটা একটু ফুলে লাল হয়ে ওঠে। অনেক সময় পানি বের হয়।
দাদ ও একজিমার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা: এক্ষেত্রে দারুচিনি ৩ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে তাকে থেঁতো করে দু'কাপ পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে সকালে ও রাতে খাবার পর আধা কাপ করে দু'বার খেতে হবে। আর এর সাথে ২/৩ গ্রাম দারুচিনি বেটে অল্প একটু দুধের সরের সাথে মিশিয়ে তা ঐ চাকা চাকা জায়গায় একদিন পর পর লাগাতে হবে। এতে করে ঐ দাদ বা একজিমাটা মিশে যাবে।
তথ্যসূত্র: লতাপাতার ঔষধি গুণ
--------------------------------
আরও দেখুন
----------------------------------
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোন ভেষজ ঔষধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments