স্বামী সহবাসে কষ্ট, অনিচ্ছা বা রক্তসাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
যোনি স্পৰ্শ করিলেই যোনিদ্বার সংকুচিত হইয়া অতিশয় যন্ত্রণা হয়। স্বামী সহবাস একেবারে অসম্ভব হইয়া পড়ে কিংবা যোনিদ্বার শুষ্ক বশত: পুরুষ জননেন্দ্রিয় যোনির মধ্যে প্রবিষ্ট হইতে পারে না। এই পীড়ার জন্য স্ত্রী স্বামীর নিকট যেতে চায় না। যোনিদ্বার সংকোচন জরায়ু বা যোনিদ্বার প্রদাহ নানাবিধ কারণে এই পীড়া হয়।
স্বামী সহবাসে কষ্ট বা অনিচ্ছা সমস্যার হোমিও চিকিৎসা:
স্বামী সহবাসে কষ্ট বা অনিচ্ছা সমস্যার হোমিও চিকিৎসায় ব্যবহৃত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঔষধের নাম ও তাদের লক্ষণ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সিপিয়া(Sepia): শান্ত স্বভাব, উদাসীন, বিষন্নতা, ক্রন্দনশীল রমণী, যাহারা প্রায়ই জরায়ু পীড়ায় ভোগে। যোনিদ্বার শুষ্ক বশত: স্বামী সহবাসে কষ্ট। কোন কোন স্ত্রীলোকদের সহবাসের ইচ্ছা একে বারেই থাকেনা ইত্যাদি লক্ষণে সিপিয়া অব্যর্থ।
সেবন বিধি: শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই বার। পুরাতন রোগে 1m বা আরও উচ্চ শক্তি।
লাইকোপোডিয়াম(Lycopodium): যোনি পথ শুষ্কতার কারণে সহবাসে কষ্ট, সহবাসের পর জ্বালা যন্ত্রণা হইতে থাকলে লাইকোপোডিয়াম ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।
সেবন বিধি: শক্তি 30 বা 200 দিনে দুই বার। পুরাতন রোগে 1m বা আরও উচ্চ শক্তি।
ক্রিয়োজোট(Kreosotum): সহবাস কালে বা সহবাসের পর জরায়ু হইতে রক্তস্রাব হইলে ক্রিয়োজোট অব্যর্থ মহৌষধ।
সেবন বিধি: শক্তি 30 বা 200 দিনে সকাল বিকাল দুই বার।
আর্জেন্ট নাইট(Argent Nit): ক্ষীণকায় কোটারাগত চোখ, মিষ্টি খাবারে প্রবল আকাঙ্খ, গরম কাতর, এই ধাতুর রোগিনীদের সঙ্গমকালে কষ্ট তৎপরে যোনিদ্বার দিয়ে রক্তস্রাব হইলে এই ঔষধ উপযোগী।
সেবন বিধি: শক্তি 30 বা 200 দিনে সকাল বিকাল দুই বার।
--------------------------------
আরও দেখুন
মহিলাদের সাদা স্রাবের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা যেভাবে
----------------------------------
ফেরাম মেট(Ferrum Met): রক্তশূন্য দুর্বল স্ত্রীলোকের সঙ্গমকালে ডিম্বকোষ ব্যথার কারণে স্বামী সহবাসে কষ্ট হইলে এই ঔষধ বিফল হয় না।
সেবন বিধি: শক্তি 30 বা 200 দিনে সকাল বিকাল দুই বার।
সূত্র: অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, ডা: এম. এ হোসেন
সতর্কীকরণ:
ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোন ঔষধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন। হোমিও ঔষধ ব্যবহারের পূর্বে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments