চোখের অঞ্জনি সমস্যার হোমিও চিকিৎসা || Homeo remedy for Anjani problem.
চোখের উপরের পাতায় বা নীচের পাতায় বেদনাযুক্ত ছোট স্ফোটকের মত হয় তাহাকে অঞ্জনি বলে। সময় সময় স্ফোটকের ন্যায় পাকিয়া পুঁজ নির্গত হয়। ঠান্ডা লাগা বা দুর্বলতা প্রভৃতি কারণে এই পীড়া হতে পারে।
অঞ্জনি সমস্যার হোমিও ঔষধ:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা একটি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ঔষধের লক্ষণের সাথে রোগীর লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
নিম্নে অঞ্জনি সমস্যার কয়েকটি হোমিও ঔষধ, লক্ষণ ও প্রয়োগ মাত্রা উল্লেখ করা হলো-
বেলেডোনা(Belladona): ঠান্ডা বাতাস অপছন্দ, শীত কাতর রোগীদের অঞ্জনিতে ইহা উপকারী। যদি অঞ্জনি স্থানটি টকটকে লাল হয়ে থাকে, তাহাতে অত্যন্ত চিরিক মারা দপদপানি ব্যথা, গরম, মাঝে মাঝে জ্বলে ইহাতে বেলেডোনা অব্যর্থ ঔষধ।
সেবন বিধি: শক্তি 3x, 6 বা 30 তিন ঘন্টা পর পর সেব্য।
হিপার সালফ (Heper Sulph): ঠান্ডা বাতাস অসহ্য, শীত কাতর রোগী, কি শীত কি গ্রীষ্ম উভয় ঋতুতে আপাদমস্তক ঢাকিয়া রাখ। গরমের দিনে প্রচুর ঘাম হয়, মেজাজ খুবই রাগী। এই ধাতুর রোগীদের এই ঔযধ অধিক ফল দেয়।
যদি অঞ্জনিতে স্পর্শ কাতরতা ব্যথা থাকে, হাত ছোঁয়ানো দূরের কথা ঠান্ডা বাতাস লাগাও সহ্য হয় না। এই ধাতুর রোগীদের এই ঔযধ অধিক ফল দেয়।
সেবন বিধি: শক্তি 30 বা 200 দিনে ৩ বার সেব্য।
ক্যালকেরিয়া পিক্রেটাম (Calcarei Picratum): চোখের পাতার অঞ্জনিতে এই ঔষধ ব্যবহার করিয়া যথেষ্ট উপকার পাওয়া।
সেবন বিধি: ইহার 3x তিন ঘন্টা অন্তর অন্তর সেবনে শীঘ্র পুঁজ উৎপাদিত হইয়া ফাটিয়া যায়। 30 বা 200 দিনে ২ বার সেননে অঞ্জনি বসিয়া যায়।
পালসেটিলা(Pulsatilla): রোগীর স্বভাব কোমল, মনটা নরম, অল্প কথায় মনে ব্যথা পায়, খোলা বাতাস পাইবার আকাঙ্খা থাকে, গরমে কাতর হইয়া পড়ে- এই ধাতুর রোগীদের চোখের নীচের পাতার অঞ্জনিতে পালসেটিলা নামের এ হোমিও ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী।
সেবন বিধি: ৩০ বা ২০০ শক্তির ঔষধ দিনে ৩ মাত্রা সেব্য। পালসেটিলা ঔষধটি অঞ্জনি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আরও দেখুন-
বমির সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া (Staphvsagria): অতিশয় উত্তেজিত, বদরাগী, অভিমানী, মনের দুঃখ মনে চাপিয়া রাখে বাহিরে প্রকাশ না করিয়া মনোকষ্টে ভোগে, শীত কাতর স্বভাবের রোগীদের অঞ্জনিতে ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া নামের এ হোমিও ঔষধ অত্যন্ত কার্যকরী।
কোন সময় পাকিয়া পুঁজ গড়ে আবার কোন সময় না ফাটিয়া শক্ত টিবলি হইয়া থাকে পাকেও না বসেও না। এই রকম পরিস্থিতিতে ষ্ট্যাফিসেগ্রিয়া উত্তম ঔষধ।
সেবন বিধিঃ শক্তি 30 বা ২০০ দিনে ২ বার সেব্য। পুরাতন পীড়ায় 1m সকাল বিকাল দুই মাত্রা, প্রয়োজনে আরও উচ্চ শক্তি ব্যবহার্য্য।
সূত্র: অব্যর্থ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, ডা: এম. এ হোসেন
সতর্কীকরণ: হোমিও ঔষধ সেবনের পূর্বে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments