ধ্বজ-ভঙ্গের লক্ষণ কি | ধ্বজ-ভঙ্গ হলে কি কি সমস্যা হয়
অল্প বয়সের অনেক তরুণ হস্তমৈথুন এবং অসৎ সঙ্গ থেকে বিবিধ যৌন রোগের শিকার হয়। আবার পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব, হতাশায় ভোগার দরুন লিঙ্গে উত্তেজনা ও উত্থান নিয়মিত হয় না। এরকম অবস্থায় ধ্বজভঙ্গ হয়েছে ভাবাটা খুব স্বাভাবিক। সঠিক চিকিৎসা করলে রোগ সারানো যায়, তবে জন্মগতভাবে অক্ষম হলে রোগ সারানো বেশ কঠিন।
ধ্বজভঙ্গে লক্ষণ:
(ক) জন্মগত (Congenital) লক্ষণ:
১. প্রাপ্ত বয়সের আগমনের প্রায় সাথে সাথেই নারীসুলভ গুণাবলি দেখা যায়।
২. শারীরিক দুর্বলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে।
৩. শরীরে বিবিধ হরমোনের অভাব এবং স্নায়ুবিক দুর্বলতা দেখা যায়।
৪. লিঙ্গ ছোট হয় এবং শক্ত হয় না।
৫. বীর্যপাত হয় না, হলেও ১-২ ফোঁটা মাত্র।
৬. যৌন উত্তেজনা থাকে না।
৭. মেয়েদের মত সাজগোজ অঙ্গভঙ্গি এবং মেয়েদের মত কাজ করতে পছন্দ করে।
(খ) দৈহিক ও মানসিক (Physical & Mental) লক্ষণ:
১. রোগী নিজে নিজেই কৃত্রিম বীর্যপাতে শরীরের ক্ষতি হওয়ার কারণে নিজেকে অপরাধী মনে করে।
২. হরমোনের অভাবে কম ক্ষরণ হওয়ার জন্য যৌন উত্তেজনা কম হয় এবং রোগী
মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলে।
৩. হস্তমৈথুন, বেশি বীর্যপাত, রাত্রি জাগরণ, নেশা পান এবং বিভিন্ন অনিয়মের জন্য উত্তেজনায় লিঙ্গের উত্থান মজবুত হয় না।
৪. পুষ্টিকর খাদ্যের অভাবে শরীরের ক্ষয় পূরণ না হওয়ায় ধীরে ধীরে শারীরিক অক্ষমতা প্রকাশ পায়।
৫. জটিল বা সংক্রামক যৌন রোগে দীর্ঘ সময় ভুগলে।
৬. মনের দুর্বলতায়-ধ্বজভঙ্গ হয়েছে, এমনটি বেশি চিন্তার ফলে ধ্বজভঙ্গ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৭. জননেন্দ্রিয় এতই দুর্বল হইয়া পড়ে যে শুক্রের ধারণ ক্ষমতা কমিয়া যায়।
৮. বাহ্যে, প্রস্রাবে বসিয়া কোথ দিলে শুক্র বাহির হইয়া পড়ে।
৯. স্ত্রী লোকের সঙ্গে আলিঙ্গন, স্পর্শ, দর্শন কিংবা মনে মনে ভাবিলেও বীর্যপাত হইয়া যায়।
১০. ইহাতে জননেন্দ্রিয় ছোট, ও বক্র হইয়া পড়ে।
১১. হৃৎপন্দন বেড়ে যায়, মাথা ধরা ও ঘোরার ভাব হয়, অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ প্রকাশ পায়।
ধ্বজ-ভঙ্গ রোগের হোমিও চিকিৎসা এখানে দেখুন:
সতর্কীকরণ: ঘরে প্রস্তুতকৃত যে কোন ঔষধ নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করুন।
--------------------------------
আরও দেখুন
ধ্বজ-ভঙ্গের কার্যকরী হোমিও ও বায়োকেমিক চিকিৎসা।
----------------------------------
পোস্টের নিয়মিত আপডেট পেতে আমাদের ‘‘ফেসবুক পেজে” লাইক দিয়ে রাখুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে নিচের ফেসবুক, টুইটার বা গুগল প্লাসে
শেয়ার করে আপনার টাইমলাইনে রেখে দিন। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
No comments